পাঁচ শর্তে দেশের প্রেক্ষাগৃহে উপমহাদেশের ছবি মুক্তির অনুমতি পেয়েছে। শর্তগুলো হলো:
(ক) বাংলাদেশের বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশকগণ উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করার সুযোগ পাবেন।
(খ) উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র বাংলা সাবটাইটেলসহ পরীক্ষামূলকভাবে শুধু ২ (দুই) বছরের জন্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করার সুযোগ থাকবে।
(গ) প্রথম বছর ১০(দশ)টি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে সমান সংখ্যক চলচ্চিত্র আমদানি করতে পারবে।
(ঘ) আমদানিকৃত উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সনদ গ্রহণ করতে হবে।
(ঙ) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল আযহা ও দূর্গা পুজার সপ্তাহে এই আদেশ বলে আমদানীকৃত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না।
ভালো চলচ্চিত্রের অভাবে অনেক বছর ধরে ধুঁকছে দেশের সিনেমা হলগুলো। এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেলে অনেক সিনেমা হল। এমন অবস্থায় সিনেমা হল বাঁচাতে চলচ্চিত্রের প্রযোজক, প্রেক্ষাগৃহের মালিক, পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীদের ১৯ সংগঠন ভারতীয় ছবি তথা বলিউডি সিনেমা আমদানির পক্ষে একদম হন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এসব সংগঠনের জোট সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে। পরে জানানো হয়, শর্ত সাপেক্ষে ভারতীয় সিনেমা বাংলাদেশে আমদানিতে কোনো আপত্তি নেই তাদের। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আশ্বাসও দিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী।