ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে রামাল্লায় ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুখোশ পরা একদল ইসরায়েলি সেনা সদস্য কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার ব্যুরো অফিসে ঢুকে টিভি চ্যানেলটি বন্ধ করে দেয়।
পশ্চিম তীরে অবস্থিত আল-জাজিরার ব্যুরো অফিসের প্রধান ওয়ালিদ আল-ওমারি গণমাধ্যমকে জানান, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে ইসরায়েলি সেনারা এসে আল-জাজিরার সম্প্রচার আগামী ৪৫ দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে অফিসে তালা লাগিয়ে গেছে। খবর আরব নিউজ ও আল-জাজিরার।
এ সময় ইসরায়েলি সেনারা বলেন, আল জাজিরার সম্প্রচার আগামী দেড় মাস বন্ধ রাখার জন্য আদালতের একটি রায় রয়েছে। ইসরায়েলি সেনারা আল জাজিরার পশ্চিম তীরের ব্যুরো প্রধান ওয়ালিদ আল-ওমারিকে বলেন, আমরা আপনাকে এই মুহূর্তে সব ক্যামেরা নিয়ে অফিস ছেড়ে চলে যেতে বলছি।
একটি ফিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভারী অস্ত্রধারী এবং মুখোশধারী সেনারা অফিসে ঢুকছে। তারা টিভি সম্প্রচার বন্ধের আদেশ দিলেও কারণ বলতে পারেনি।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের সরকার ঘোষণা করেছে যে, তারা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চ্যানেলটি পরিচালনা করা নিষিদ্ধ করার চার মাস পরে আল জাজিরার সাংবাদিকদের প্রেস কার্ড বাতিল করেছে।
ইসরায়েলের দাবি, আল-জাজিরা এখন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে ইসরায়েলের যুদ্ধ কভার করে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বারবার কাতারের এই টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদের গাজায় হামাস বা তার মিত্র ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে যুক্ত ‘সন্ত্রাসী এজেন্ট’ হিসেবে অভিযুক্ত করে আসছে।
তবে, আল-জাজিরা ইসরায়েল সরকারের এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে গাজা উপত্যকায় এই টিভির কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করে আসছে বলে অভিযোগ করেছে।
গত অক্টোবরে হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর দেশটিতে একটি বিল পাস হয়। এতে ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন বিদেশি গণমাধ্যমগুলোকে সাময়িকভাবে কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় আল-জাজিরার অফিস রয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে হত্যা করে ইসরায়েল। ওই সময় জেনিন শহরে ইসরায়েলের একটি সামরিক অভিযানের খবর কভার করছিলেন তিনি।
হামাসের সঙ্গে সংঘাত চলাকালে ইসরায়েলি বোমা হামলায় দুই শতাধিক সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।