কয়েক হাজার পর্ন ও জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, এই ধরণের সাইট তার গোচরে আনলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা বন্ধ করা হবে। মন্ত্রী শনিবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ইলেক্ট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ডিজিটাল অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে ২৬ হাজার পর্ন সাইট ও ছয় হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। এই ধরনের সাইট দেখামাত্র মন্ত্রী তার গোচরে আনলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা বন্ধ করার নিশ্চয়তা দেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা বিধানে আমরা অনেক উন্নত দেশের সমপর্যায়ে উপনীত হতে না পারলেও বৈশ্বিক সক্ষমতার মাপকাঠিতে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে আছে।
মন্ত্রী ২০১৮ সালে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে দেশের প্রতিটি নাগরিকের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশের প্রথম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার সতর্কতা। নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য নিজের একাউন্টের পাসওয়ার্ড রক্ষা, অপরিচিত সন্দেহভাজন মেইল চেক করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা, পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করা ইত্যাদি বিভিন্ন উপায় তুলে ধরেন।
ডিজিটাল যুগে শিশুদের ডিজিটাল যন্ত্র বা মোবাইল ব্যবহারে উৎসাহিত করার প্রযোজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শিশুরা যাতে ইন্টারনেটের ভালো দিকগুলো চর্চা এবং খারাপ দিকগুলো বর্জন করতে পারে সেজন্য প্রযুক্তি আছে। অভিভাবকরা পেরেন্টাল গাইডেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারেন।
মোস্তাফা জব্বার কম্পিউটারসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে তার ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, হানিফ উদ্দিন মিয়ার হাত ধরে ১৯৬৪ সালে এই অঞ্চলে কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৭ সালের পর কম্পিউটারে বাংলা প্রবর্তনের ধারাবাহিকতায় প্রথমে পত্রিকা অফিস এবং পরবর্তীতে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে আমরা কম্পিউটার বিপ্লবে সফল হয়েছি ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও সফলতার দ্বার প্রান্তে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে অপরাধী শনাক্ত করা এখন সহজই হয়নি, কোনো অপরাধী পার পাচ্ছে না। আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগ করে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে দক্ষতার সাথে কাজ করছে। ইলেক্ট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রশীদ, কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি শহীদুল মুনীর এবং বাক্কোর সেক্রেটারি জেনারেল তৌহিদ হোসেন বক্তৃতা করেন।