এটা ক্যারিয়ারের শেষ ইউরো তা আগেই জানিয়েছিলেন। শেষটা যেন ভালো হয় তার জন্য চেষ্টাও চালিয়েছিলেন। কিন্তু হয়নি। শেষটা রাঙাতে পারলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কোয়ার্টার ফাইনালেই ইউরোতে পথচলা শেষ হলো পর্তুগালের। টাইব্রেকারে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নিতে হলো তাদের। এর ফলে সেমিফাইনালে উঠলো ফ্রান্স।
হামবার্গে শুক্রবার ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ও ফ্রান্স। যেখানে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন রোনালদো আর এমবাপ্পে। খেলার শুরু থেকেই দুই দলের আক্রমণ ছিল সাদামাটা। তেমন একটা আক্রমণ করতে দেখা যায়নি কোনো দলকেই। প্রথমার্ধে বলার মতো কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি তাদের কেউ। দুই একটা আক্রমণ থাকলেও তাতে ছিল না ধার। এভাবেই গোলশূন্য শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও ছিল প্রথমার্ধের মতোই। তবে ম্যাচের বয়স ঘণ্টার কাঁটায় পৌঁছানোর পর খেলায় কিছুটা রঙ বদল হয়। ৬২ মিনিটে জোয়াও কানসেলোর দারুণভাবে বাড়ানো বল ধরে ব্রুনো ফার্নান্দেজ পেনাল্টি বক্সে ঢুকে শট নিলে যার শুরু, যদিও গোল আসেনি।
এর চার মিনিট পর ৬৬ মিনিটে কোলো মুয়ানি অনেকটা একা পেয়ে যান কস্তাকে। কিন্তু তাতেও গোলের দেখা পায়নি বল, তার শট যায় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে। এর পাঁচ মিনিট পর এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার সামনেও বাধা ছিল শুধু পর্তুগাল গোলকিপার। কিন্তু তিনিও সফল হতে পারেননি।
দশ মিনিটের মধ্যে দুই দলের চারটি সুযোগ নষ্টের মাধ্যমে খেলা বেশ জমে ওঠে। তবে নির্ধারিত নব্বই মিনিটের মধ্যে আর কোনো বড় সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই। তাতে গোলশূন্য শেষ হয় ৯০ মিনিট। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে এখানেও মেলেনি গোলের দেখা। এবারও ফল না আসায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে প্রথম দুই শটে দুই দলই গোল করে। তবে তৃতীয় শটে পর্তুগালের জোয়াও ফিলিক্সের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এরপর প্রয়োজন ছিল পর্তুগিজ গোলরক্ষকের অন্তত একটি সেভ করা। কিন্তু আগের ম্যাচে টানা ৩ সেভ দেওয়া দিয়েগো কস্তা আজ একটাও সেভ করতে পারেননি। টানা ৫ শটে গোল করে সেমিফাইনালে ওঠার উল্লাসে মাতে ফরাসিরা।
আগামী মঙ্গলবার মিউনিখে প্রথম সেমিফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।
এর মধ্য দিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ইউরো অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা এটিই ক্যারিয়ারের শেষ ইউরো বলে আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন পর্তুগিজ তারকা।