সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে আমলি আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোসলে উদ্দিন মিজান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শাহ আলম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হাজী আবুল কাশেমের ছেলে আহসান উল্যাহ প্রকাশ কল্লা হাসান (৩৮), একই ওয়ার্ডের অজি উল্যাহর ছেলে আকবর হোসেন সোহেল (৩৬) ও পূর্ব মির্জা নগর গ্রামের নূর নবীর ছেলে মারিজ (২১)।
সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত শনিবার রাতে পূর্ব মির্জা নগর গ্রামের নিজ বাড়িতে খুন হয় শাহিদুজ্জামান পলাশ। তাকে গুলি করে হত্যার পর তার বাড়ির মুরগির খামারের কাছে ফেলে যায় আসামিরা। পরে স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে অবস্থান করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাদের তিনজনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মির্জানগর গ্রামে শাহেদুজ্জামান পলাশকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তবে কে বা কারা খুন করেছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
নিহত শাহেদুজ্জামান পলাশ সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব মির্জানগর গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে। শাহেদুজ্জামান পূর্ব মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে কাঁচি প্রতীকের পোলিং এজেন্ট ছিলেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক।