ইরানের পরমাণু সমঝোতা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউর মধ্যস্থতায় আমেরিকা ও ইরানের মধ্যকার দু’দিনব্যাপী পরোক্ষ আলোচনায় অবচালবস্থার জন্য আমেরিকাকে দায়ী করেছে চীন, রাশিয়া ও ইরান।
পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার লক্ষ্যে মঙ্গল ও বুধবার অনুষ্ঠিত দোহা বৈঠক থেকে কোনও ফল বেরিয়ে আসেনি। ওই বৈঠকের ব্যাপারে আমেরিকা ও ইইউ হতাশা প্রকাশ করলেও ইরান দোহা বৈঠককে ইতিবাচক বলে নিজের মূল্যায়ন ঘোষণা করে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ সম্পর্কে তুমুল বিতর্ক হয়। বৈঠকে ফ্রান্স ও ব্রিটেন ইরানকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করলেও চীন, রাশিয়া ও ইরান শক্ত গলায় আমেরিকাকে দোষারোপ করে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপপ্রধান রোজম্যারি ডিকারলো আমেরিকাকে ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার আহ্বান জানান। এ সময় জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানান এবং রুশ রাষ্ট্রদূত আলোচনায় আরও নমনীয় হওয়ার জন্য আমেরিকা ও ইরানের প্রতি আহ্বান জানান।
রুশ রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি দিমিত্রি পুলিয়ানেস্কি বলেন, পরমাণু সমঝোতা নিয়ে চলমান অচলাবস্থার কারণ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান বিরোধী ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতি যা বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেন অব্যাহত রেখেছেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি বলেন, “পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনায় এটির বাস্তবায়নের পূর্ণ গ্যারান্টি থাকতে হবে যাতে আমেরিকা আরেকবার এটিকে ধ্বংস করে দিতে না পারে।” তিনি বলেন, ইরান ‘সত্যনিষ্ঠভাবে ইতিবাচক ও গঠমূলক’ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দোহা বৈঠকে অংশ নিয়েছিল