পদ্মা সেতুর রেলিং থেকে নাট খুলে টিকটক ভিডিও করায় গ্রেপ্তার বায়েজিদ তালহা মৃধার পটুয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামের মৃধা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বায়েজিদ পদ্মা সেতুর নাট খোলার কারণে ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই জানা যায়, তাঁর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। পরে সবাই পটুয়াখালীতে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলে এসে বায়েজিদদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় বায়েজিদের মেজ ভাই মো. সোহাগ মৃধার স্ত্রী হাদিসা খাতুন ও তাঁর মেয়ে ফাতিমাতুজ্জোহরা বাড়িতে ছিলেন। হামলার সময় ভয়ে তাঁরা পাশের ঘরে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা বায়েজিদের ভাইয়ের মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করে।
বায়েজিদের মেজ ভাই সোহাগ মৃধা পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করেন। ঘটনার সময় তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
হাদিসা আক্তার বলেন, ‘বিকেলের দিকে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ঘরে ছিলাম। এমন সময় রামদা, কুড়াল নিয়ে অনেকগুলো ছেলে প্রবেশ করলে আমরা ভয়ে পাশের ঘরে পালাইয়া যাই। আমার ঘরের বেড়া কোপাইছে, ঘরের মালামাল ভাঙচুর করছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লাউকাঠি ইউনিয়নের ওয়ার্ডের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন মানিক বলেন, ‘আমি শুনছি এলাকা দিয়ে ফোন করে জানাইছে, বায়েজিদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করছে। পুলিশ ও সাংবাদিকেরা গেছিল। কারা হামলা করছে, কেউ চিনতে পারেনি।’
সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বড় কোনো ধরনের ঘটনা ঘটেনি।’
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামের নির্মাণশ্রমিক মো. আলাউদ্দিন মৃধা ও পিয়ারা বেগম দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বায়েজিদ ছোট। বড় ছেলে সিপন মৃধা খুলনা কাস্টমস রেভিনিউ অফিসার ও মেজ ছেলে সোহাগ মৃধা পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করেন। বায়েজিদ বর্তমানে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত।