পদ্মা সেতু এ বছরের জুনেই উদ্বোধন হতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শতভাগ সততার সঙ্গে পদ্মা সেতুর কাজ করা হচ্ছে। কোনো বিদেশি ঋণ ছাড়াই সেতু নির্মাণ হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি হয়নি, হবেও না। অন্য সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ একাধিকবার ঋণ খেলাপি হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গাধা যেমন জল ঘোলা করে পানি খায়, তেমনি বিএনপিও আগামী জাতীয় নির্বাচনে জল ঘোলা করে নির্বাচনে অংশ নেবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হবে কমিশনের অধীনে, সরকার কমিশনকে শুধু সহযোগিতা করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। আর শেখ হাসিনা সরকার দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সরকার নাকি দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে দেশে যা করেছিল তা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি। তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল বহুদলীয় ছদ্মবেশী তামাশা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে নিজে সংসদ সদস্য হয়ে সংসদে যায়নি, তার মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
গণতন্ত্রের নামে মুখোশ পড়া বর্ণচোরাদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামল ছাড়া আর কোন সরকারের শাসনামল ভালো ছিল না।
রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এতিম, প্রতিবন্ধী, অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ এবং ঘাতকের আঘাতে নিহত উমামা বেগম কনকের পরিবার ও ক্যানসারে আক্রান্তদের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।