পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে হীন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বুধবার (২৯ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
‘বিরোধী দল দমনে আরও হিংস্র রূপে সরকার’মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বিবৃতিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দূরভিসন্ধিমূলক উল্লেখ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের পাল্টা এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল সাহেবের ওই বিবৃতি বিএনপির দৈনন্দিন মিথ্যাচারের অপরাজনীতির অংশ ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আজ বাংলাদেশে এক নবতর উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। বাঙালি জাতির এই গণজাগরণে হতাশ হয়ে দিশাহারা বিএনপি আজ তাদের হতাশা-ব্যর্থতা ঢাকতে সরকারের বিরুদ্ধে কাল্পনিক নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ তুলছে। অপরদিকে নেতাকর্মীদের দিয়ে পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে হীন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি এ দেশের সংবিধান, সুশাসন ও মানবাধিকারকে বারবার হত্যা করেছে। তাদের রাজনীতি এখনও মানুষ খুনের রাজনীতি। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে ছাত্রদল-যুবদল নেতারা তাদের রাজনৈতিক সমাবেশে স্লোগান দেয় ’৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। এ ধরনের প্রকাশ্যে খুনের হুমকি দেওয়ার পরও এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও ফৌজদারি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করার পরও বিএনপি নেতাদের দমনে হিংস্র আচরণ তো দূরের কথা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রকার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দমন-নিপীড়ন নয়; বরং সব দল-মতের মানুষের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারে বিশ্বাস করে। সে কারণে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যের পরও আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ সহনশীল আচরণ করেছে। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ এবং তাদের দেশবিরোধী ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কারণে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে জাতির গৌরবের প্রতীক পদ্মা সেতু নিয়ে নাশকতার রাজনীতি শুরু করেছে। রাজপথে ও গণমাধ্যমে বিএনপি নেতারা অবাধ বাকস্বাধীনতা ভোগ করছে এবং সেই সুযোগে প্রতিদিন বক্তৃতা ও বিবৃতির মাধ্যমে নির্জলা মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে।