দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সৌজন্য বিনিময় অনুষ্ঠানে সিইসি এই ঘোষণা দেন।
সৌজন্য বিনিময় অনুষ্ঠান চলাকালে নির্বাচন ভবনের বাইরে একদল লোক বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। নির্বাচন ভবনের ভেতরে–বাইরে সেনাসদস্যদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনিসহ তাঁর কমিশনের সদস্যরা পদত্যাগ করার মনস্থির করেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়ার জন্য পদত্যাগপত্রগুলো ইসি সচিবালয়ের সচিবের কাছে তাঁরা জমা দিয়েছেন।
সৌজন্য বিনিময়ে অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুই কমিশনার রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।
নিজের বক্তব্য পড়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন সিইসি। নিজের বক্তব্যে তিনি ১৯৭৩ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত সবগুলো নির্বাচনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পরদিনই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকে ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। আজ হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসি পদত্যাগের ঘোষণা দিল।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।