বুধবার বেলা ১টা ৩৯ মিনিট। সবুজ পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রথমবারের মতো চালু হতে যাওয়া মেট্রোরেল উদ্বোধনের জন্য পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে তিনি। উত্তরা উত্তর স্টেশনের কনকোর্স লেভেলের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে নিজ হাতে এমআরটি পাস কেনার পর পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন সরকারপ্রধান।
ট্রেনের সামনে বসা চালকসহ বেশ কয়েকজন। কিছু সময় পরই ট্রেনের গার্ড যেমন পতাকা নেড়ে ট্রেন চলার সবুজ সংকেত দেন, তেমনি প্রধানমন্ত্রীও সবুজ পতাকা দুলিয়ে দেশের প্রথম মেট্রোরেলকে চলার সংকেত দিলেন। এরপরই দ্রুত বেগে ছুটে চলে ট্রেন। এর মধ্যে দিয়ে দেশে নতুন এক যুগের সুচনা হলো।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঐতিহাসিক এই ঘটনার সাক্ষী হলো দেশ। প্রথম ট্রেনটি ছুটে গেলেও প্রধানমন্ত্রী সেটির যাত্রী ছিলেন না। কয়েক মিনিট পর আরেকটি ট্রেন এলে প্রধানমন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে সেটিতে চড়েন। এ সময় ছোট বোন শেখ রেহানাসহ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মেট্রো ট্রেনে চড়ার জন্য এমআরটি পাস কিনেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশনের কনকোর্স লেভেলের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে ৫০০ টাকা পরিশোধ করে তিনি এই পাস নেন। একইসঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও একটি পাস নেন। প্রধানমন্ত্রী মোট এক হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে যান দেশের প্রথম চালু হওয়া মেট্টোরেলের দিকে। তারপর মেট্টোরেলের সবুজ সংকেত দিয়ে সেখানে আনুষ্ঠানিকতা সারেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও যারা মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হয়েছেন তারা হলেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মাদরাসা শিক্ষক, ইমাম, অন্যান্য ধর্মযাজক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, পোশাক শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, দোকানি/বাদাম বিক্রেতা/সবজি বিক্রেতা, মেট্রোরেলের শ্রমিক, প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী, কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী, একজন দৃষ্টি/বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।