আগামী রমজানের চাহিদা মেটাতে ছয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার কোটা হিসেবে আলাদা করে রাখার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকায় বাণিজ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকের অনীহায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছেন না তারা। এর পর ৫ জানুয়ারি অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রমজানে পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে রাখার বিষয়ে উদ্বেগ আছে, তার মধ্যে আমদানি না বাড়লে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলেও ব্যবসায়ীরা সতর্ক করেন।
এ সমস্যা সমাধানে ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা ও খেজুর—এই ছয়টি পণ্যের এলসি খোলার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলারের কোটা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ ব্যাংককে ই-মেইলে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য সচিব। তবে এসব পণ্য আমদানিতে কী পরিমাণ ডলার কোটা হিসেবে রাখা প্রয়োজন, সে সম্পর্কে চিঠিতে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
বাণিজ্য সচিব জানান, শিল্প পণ্য রপ্তানি ও রেমিট্যান্স থেকে যে ডলার আসে, সেখান থেকে একটি অংশ নিত্যপণ্য আমদানির জন্য সংরক্ষণ করতে বলেছি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার ব্যয়ের কথা বলা হয়নি। শুধু আগামী রমজানে পণ্য চাহিদা মেটাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা যা করণীয় বাংলাদেশ ব্যাংক তার সবই করবে। আগামী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।