বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন, দলের বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্বোধন দরকার। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সার্বক্ষণিক প্রচার করে, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের একটি দল। অথচ বিএনপি নেতা, যাদের বয়স ৫০-এর ওপরে, তারা বেশিরভাগই মুক্তিযোদ্ধা। এটা একটা বাস্তবতা।’
১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ -এর তাৎপর্য শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়া যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছেন, তা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার, বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের সংকটটা অনেক গভীর, সংকট হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে, যা অর্জনে সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের গণতন্ত্রের নেত্রী, যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তিনি আজ কারাগারে।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এই যে একটা অবস্থা, ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ঘাড়ের ওপর বসে আছে। এখান থেকে মুক্ত হতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন, আবদুস সালাম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।