পাওনা টাকা আদায়ে দেনাদারের বাড়িতে মরদেহ রেখে অবস্থান নেন স্বজনরা। প্রায় সাত ঘণ্টা পর মধ্যরাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা হয়। শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে শহরের প্রধানপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহটি দাফন করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ছেলের চাকরির জন্য দুই বছর আগে দারুল ফালাহ দাখিল মাদরাসার সাবেক সভাপতি জুলফিকার আলী প্রধানকে কয়েক ধাপে ১৩ লাখ টাকা দেন ওই গ্রামের দবিরুল ইসলাম প্রধান (৫৬)। চাকরি না হওয়ায় ওই টাকা ফেরত পেতে বার বার জুলফিকারের কাছে ধর্না দেন দবিরুল। সম্প্রতি দবিরুল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এরপর মরদেহ নিয়ে তার স্বজনরা জুলফিকারের বাড়িতে অবস্থান নেন। দবিরুলের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার খবর শুনেই জুলফিকার স্ত্রীসহ ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।
দবিরুলের ছোট ছেলে আবদুস সবুর প্রধান বলেন, নিকটাত্মীয়ের সুযোগ নিয়ে জুলফিকার আলী বাবার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো বাবাকে অপমান করেন। গত ১৩ জুলাই বাবা ব্রেইন স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য জুলফিকারের কাছে পাওনা টাকা চাইলেও তিনি টাকা দেননি। এ নিয়ে পুলিশ সুপার বরাবর একটি আবেদনও করা হয়েছিল।
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দবিরুলের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে জুলফিকারের বাড়িতে অবস্থান নেন। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়। পরে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে জুলফিকার ছয় লাখ টাকা ফেরত দিতে চাইলে বিষয়টির সমাধান হয়। এসময় নগদ এক লাখ টাকা ও পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দিয়ে দুই মাসের সময় নেন জুলফিকার।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিঞা বলেন, পাওনা টাকা আদায় নিয়ে প্রধানপাড়া এলাকার বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা সমাধান করেছেন। শুক্রবার সকালে মৃত ব্যক্তির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।