যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মিনিয়াপলিস শহরের বরখাস্তকৃত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের বিরুদ্ধে আরোপিত সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার হেনেপিন কাউন্টি আদালতে এ রায় পড়ে শোনান জুরি বোর্ডের বিচারকরা। রায়ের পরপরই জুরিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আজ বুধবার (২১ এপ্রিল) এ খবর প্রকাশ করেছে সিএনএন।
এক টুইট বার্তায় বারাক ওবামা বলেন, আজ, জুরি সঠিক কাজ করেছে। তবে সত্য ও ন্যায়বিচারের জন্য আরো অনেক কিছু প্রয়োজন। ফ্লয়েডের পরিবারের প্রতি আমি এবং মিশেল ওবামা আমাদের আশির্বাদ পাঠাচ্ছি। এবং আমরা ওই সকল লোকদের পাশে দাঁড়াচ্ছি যারা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন।
টুইটে একটি বিবৃতিও জুড়ে দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের সাথে প্রতিদিন যে আচরণ করা হয় সেটির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমাদের সত্য ও ন্যায়বিচারের প্রয়োজন। আমাদের লক্ষ লক্ষ বন্ধু, পরিবার এবং সহকর্মী এই ভয়ে বাস করে যে আইন প্রয়োগের ফলে তাদের পরবর্তী কোনো ঘটনার যেন মুখোমুখি না হতে হয় এবং এটাই যেন শেষ হয়। এবং এটি আমাদের মাঝেমধ্যে কৃতজ্ঞতাপূর্ণ, প্রায়শই কঠিন, তবে সবসময় মহান আমেরিকা তৈরির প্রতি আরো বিশ্বাসী করে তোলে।
এদিন, ২০২০ সালের মে মাসে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের বিরুদ্ধে আরোপিত তিনটি অভিযোগ ‘দ্বিতীয় ডিগ্রী’ অনিচ্ছাকৃত হত্যা, ‘তৃতীয় ডিগ্রি’ হত্যা এবং ‘দ্বিতীয় ডিগ্রি’ হত্যা সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। এখন তাকে সর্বোচ্চ ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হতে পারে।
আইন অনুযায়ী ‘দ্বিতীয় ডিগ্রী’ অনিচ্ছাকৃত হত্যার জন্য সর্বোচ্চ ৪০ বছর কারাদণ্ডাদেশ, ‘তৃতীয় ডিগ্রি’ হত্যার জন্য সর্বোচ্চ ২৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ‘দ্বিতীয় ডিগ্রি’ হত্যার জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ২০ হাজার ডলার জরিমানা করা হতে পারে। এদিন তার জামিনের আবেদন করলে সেটি প্রত্যাহার করে দেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে (ডেরেক চৌভিন) আট সপ্তাহের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, রায় ঘোষণার সময় আদালতের বাহিরে জড়ো হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এ সময় তারা ‘ন্যায়বিচার’ এবং ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল।