সভায় উপস্থিত স্থানীয় ভোটার কামাল আহমদ বলেন, নির্বাচনে যে কারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ আছে। নির্বাচনে হারজিতও আছে। ক্ষমতাসীন দলের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নামাজ পড়া এবং কবরস্থানে লাশ দাফনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দেওয়ায় হতাশ হয়েছেন ভোটাররা। জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমার পাড়ায় আমার সমাজে সবাই আমার আত্মীয়স্বজন। নির্বাচনে তাঁরা আমার বিপক্ষে অবস্থান নিলে তাঁদের কবরস্থানে জায়গা দেওয়া হবে না। মসজিদেও নামাজ পড়তে দেওয়া হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাড়ার মসজিদ এবং কবরস্থান আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে করা হয়েছে। আমার বিরোধিতা যারা করবে, তাদের স্থান এখানে হবে না।’
২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনেও শাহ আলম আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছিলেন। তখন নির্বাচনের আগে ১৬ মার্চ রাতে হলদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিরঘোনা এলাকায় নির্বাচনের একটি প্রস্তুতি সভায় পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে নৌকায় ভোট নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে শাহ আলম চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেছিলেন, ‘সরকার কার? সরকার শেখ হাসিনার, নৌকাও সরকারের। ভোট জোর করে নিতে পারলে নৌকা মার্কার সরকার পারবে। চেয়ার মার্কা, কলসি মার্কার পক্ষে তা মোটেও সম্ভব নয়। সরকারি গুন্ডারা কার? পুলিশ সরকারি গুন্ডা, তারা (পুলিশ) হচ্ছে নৌকা মার্কার লোক। ভোট নিলে নৌকা মার্কার লোকজন নিতে পারবে, পিটিয়ে পিটিয়ে। আর সেই নৌকা আমার।’ তাঁর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় হয়েছিল।