কুমিল্লার চান্দিনায় নৌকা সমর্থকদের পৃথক হামলায় ৩ সাংবাদিকসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। এসময় এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ও আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয় নৌকার সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলো চান্দিনা উপজেলাট গল্লাই ইউনিয়নের হোসেনপুর ও কালিয়ারচরে এসব সংঘর্ষ হয়।
আহত সাংবাদিকরা হলেন, দৈনিক মুক্ত খবরের চান্দিনা প্রতিনিধি মো. সোহেল রানা, দৈনিক যুগান্তরের মো. আব্দুল বাতেন ও নয়াদিগন্তের উপজেলা প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন।
এর আগে সকালে চান্দিনা উপজেলা সদরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা সদর ঘুরে মাধাইয়াসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে গল্লাই ইউনিয়নের হোসেনপুরে আসলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ টিটুর গণসংযোগের মুখোমুখি হয়। এসময় প্রাণ গোপালের মিছিল থেকে টিটুর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নেতৃত্ব দেন উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুমন সরকার।
যুগান্তরের চান্দিনা প্রতিনিধি আবদুল বাতেন বলেন, আমরা নিউজ কাভার করার জন্য নৌকার প্রার্থী প্রাণ গোপালের গাড়িবহরের পাশে থাকি। হোসেনপুর বাজারে নৌকার মিছিল চলাকালে ঈগল সমর্থকদের গণসংযোগ করতে দেখা যায়। এ সময় ঈগল সমর্থকদের ওপর হামলার পর সংঘর্ষ বাধে। আমরা সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমন সরকারের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা হয়। বেদম মারধরের শিকার হন মুক্তখবরের সোহেল রানা।
এদিকে দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের কালিয়ারচর এলাকায় ঈগল প্রতীকের প্রচারণার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ টিটুর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে ১৪ কর্মীকে আহত করেন নৌকার সমর্থকরা। উভয় হামলার ঘটনায় নৌকার প্রার্থী অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত উপস্থিত ছিলেন।
চান্দিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ জানান, আমরা কোনো সংঘর্ষের খবর পাইনি। দুই প্রার্থীর সমর্থক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির খবর জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।