দ্বিতীয় ধাপে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সোহেল রানা পবন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ের দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।মনোনয়ন বাতিলের দাবিও তুলেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গত শনিবার রাতে ভেড়ামারা উপজেলার ছয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর চূড়ান্ত মনোনয়নের তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তিন মনোনয়ন প্রত্যাশী ও দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মনোনয়ন প্রত্যাশী শামিম আহমেদ জানান, একজন বহিষ্কৃত নেতা কীভাবে মনোনয়ন পান? যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, তার বিরুদ্ধে গত ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উপজেলা ও জেলার নেতৃবৃন্দের সামনে গুলি, বোমা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন প্রত্যাশী উজ্জ্বল আহমেদ বলেন, তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সাধারণ মানুষ ভয়ে থাকে। তার মনোনয়ন বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।
মনোনয়ন প্রত্যাশী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান সরোয়ার জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হয়। সে হিসেবে কমিটির সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এর বাইরে কীভাবে একজন বহিষ্কৃত নেতা মনোনয়ন পান? মনোনয়ন প্রাপ্ত সোহেল রানা পবন জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা আমার প্রতি আস্থাশীল, সে জন্যই আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল আলম চুন্নু জানান, সোহেল রানা পবন শৃঙ্খলা বিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে বহিষ্কার হন। বহিষ্কার আদেশ এখনো প্রত্যাহার হয়নি। তার পক্ষে উপজেলা কমিটির কোনো সুপারিশ ছিল না এবং পাঠানো তালিকায় তার নাম না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তিনি মনোনয়ন পেলেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়।