সম্প্রতি তরুণ নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন পরিচালিত সাইকোলজিক্যাল হরর ঘরানার ৪টি ভিন্ন গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে অ্যান্থোলজি সিরিজ ‘পেটকাটা ষ’। মুখে মুখে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে তৈরি এই অ্যান্ড্রোলজি সিরিজ। ‘পেটকাটা ষ’ সিরিজের চতুর্থ ও শেষ পর্ব ‘নিশির ডাক’ মুক্তি পাবে আগামী ২৮ এপ্রিল রাত ১০টা ৫৯মিনিটে দেশি ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে। এরই মধ্যে ‘পেটকাটা ষ’-এর মুক্তি পাওয়া তিনটি পর্ব এই ‘Building এ মেয়ে নিষেধ’, ‘মিষ্টি কিছু’ ও ‘লোকে বলো’ দর্শক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এদিকে হুমায়ূন আহমেদের পুত্র নুহাশ হুমায়ূনের ঝুলিতে যোগ হয়েছে কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। কিন্তু ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ৮টায় একটি লাইভ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন তিনি। যেখানে উপস্থাপিকা এক পর্যায়ে তাকে প্রশ্ন করেন, বাবা হুমায়ূন আহমেদের কারণে তিনি এই পর্যন্ত আসতে পেরেছেন কিনা। আর এমন প্রশ্নে নুহাশ বিব্রত হয়েছেন।
এর ফলে লাইভ শেষে বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভেরিফাইড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এরপর থেকেই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। নুহাশ তার ওই পোস্টে লেখেন, ‘বাংলাদেশে রিপোর্টিং যদি আরেকটু সম্মানজনক হতো! একটু আগে আমি লাইভ ইন্টারভিউতে ছিলাম; ভেবেছিলাম ‘ষ’ নিয়ে কথা হবে।
তিনি আরও লেখেন, ‘সেখানে আমাকে প্রশ্ন করা হলো, যদি আমার বাবা (হুমায়ূন আহমেদ) না হতেন, তাহলে আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম কি না? আমি জানি না আন্তর্জাতিক একজন প্রশংসিত নির্মাতাকে আপনারা এই প্রশ্ন করেন কীভাবে? আপনাদের কি মনে হয়, সানড্যান্স, বুসান, এএক্সএসডাব্লিউ, মার্শে দ্যু ফিল্ম- বাপের নাম দেখে তারা ইনভাইট করে?’
লাইভে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল‘যদি আপনি নুহাশ হুমায়ূন না হতেন, হুমায়ূনপুত্র না হতেন, তাহলে কি আপনি যেখানে ছিলেন সেখানে থাকতেন বলে মনে হয়?’ উত্তরে নুহাশ বলেন, ‘এ জিনিসগুলো না আসলে, খুবই আরাম লাগে। ইন্টারন্যাশনালি সবাই আমাকে আমার কাজের জন্য চেনে।’ এরপর বলেন, ‘আমি ইন্টারন্যাশনালি সেলিব্রেটেড ফিল্মমেকার। ওখানে ফ্যামিলি-ট্যামিলি নিয়ে ভাবার স্পেস নাই।’ ওই স্ট্যাটসে নুহাশের মা গুলতেকিনও মন্তব্য করেন। এমনকি মিডিয়ার অনেক সেলিব্রিটিই তার পক্ষে কথা বলেন। এছাড়া নুহাশ ভক্তরাও বেশ শেয়ার করেছেন তার এই স্ট্যাটাসটি।