আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের সব রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইনের একটি খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দিয়েছে। বিএনপি নেতারা উত্থাপিত আইনটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ না জেনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগে ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপিত হয়েছে। বিলটি আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সুপারিশ আকারে সংসদের বৈঠকে উঠবে এবং সংসদীয় বিধান অনুযায়ী সংসদে আলোচনার মধ্য দিয়ে আইনটি চূড়ান্ত হবে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে পরাজিত বিএনপি এখন নির্বাচন কমিশন গঠন আইন নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে অপতৎপরতায় লিপ্ত। শুধু এই আইন নয়, তারা বরাবরের মতো নির্বাচন ও নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনি প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রচুর পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ ও বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের নতুন নতুন নাটক মঞ্চায়ন করেও বিএনপির মরা গাঙের খরা কাটেনি। তাই তারা উদভ্রান্তের মতো প্রলাপ বকতে শুরু করেছে। বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তিকর মন্তব্য পরিহার করে দায়িত্বশীল আচরণ ও বক্তব্য প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।