দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা নেই বলে দাবি করেছেন ইসি আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, ‘এখনও ভোটের অনুকূল পরিবেশ নেই বলে ইসির ধারণাপত্রে পর্যবেক্ষণ বাস্তব।’
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ২৫তম কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া পটুয়াখালী-১ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে এই সভা ডাকা হয়।
নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যম সম্পাদকদের কাছে ধারণাপত্র পাঠিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে দেওয়া ধারণাপত্রে বলা হয়েছিল অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল সেটি এখনো হয়ে ওঠেনি।
ওই ধারণাপত্র নিয়ে কমিশনারদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আহসান হাবিব বলেন, কমিশনার মহোদয় উনার কথা বলেছেন। আমার কথা হচ্ছে আমাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা নাই। অবশ্যই নির্বাচনের পরিবেশ আছে। দেশে ভোটের পরিবেশ আছে।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, অবশ্যই ভোটের পরিবেশ আছে। থাকবে না কেন? আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) একটা জিনিস বোঝার চেষ্টা করেন। ধারণাপত্রটা আপনারা পুরোপুরি পড়েন। টোটালটা পড়ার পর আপনারাই চিন্তা করেন। এখানে কোনো অসত্য কথা লেখা আছে কি না।
ধারণাপত্রে সিইসি বলেছেন নির্বাচনের পরিবেশ নেই? আরেক কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। এই প্রসঙ্গে ইসি আহসান হাবিব বলেন, আপনারা সঠিকভাবে ধারণাপত্রটি পড়েন। তাহলেই বুঝতে পারবেন। ধারণাপত্রে বলা হয়েছে, অনূকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল। সেটা এখনো হয়ে উঠে নাই। সবসময় কী ভোটের অনুকূল পরিবেশ থাকে? অতীতে যে ভোটগুলো হয়েছে আপনি কি দেখেছেন শতভাগ পারফেকশন। পরিবেশ কি সব সময় অনূকুলে ছিল। আপনারা কিন্তু একজন কমিশনারকে আরেকজন কমিশনারের মুখোমুখি করিয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যাশিত যে পরিবেশ তা এখনও সৃষ্টি হয় নাই। এটা কিন্তু এখন না প্রত্যেক ইলেকশনের সামনে এমন ঘটনা ঘটে, কেউ বলার সৎ সাহস রাখে নাই। সবার এমন সাহস থাকে না।
এর আগে পটুয়াখালী-১ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের তফসিল নিয়ে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগামী ২৬ নভেম্বর পটুয়াখালী-১ আসনের উপনির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় এক নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই দুই নভেম্বর। সেই সঙ্গে আগামী ৯ নভেম্বর মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।