নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব পড়বে এমন বক্তব্য-বিবৃতি থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (৯ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে ১৮টি দল ও জোটের নেতারা অংশ নেন। নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ সময় তারেক রহমান নেতাদের উদ্দেশে বলেন, অতীতের মতো আগামী দিনেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবার অংশগ্রহণে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, এমন কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে যা নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিভিন্ন শরিক দলের প্রতিনিধিরা ঐক্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা না হলেও শরিকদের যথাযথ মূল্যায়নের দাবি তোলেন।
বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব আব্দুল মতিন সাউদ বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমরা যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, আগামী দিনেও আমাদের তেমন ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কেউ যাতে আমাদের ঐক্য ফাটল ধরাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান বলেছেন জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পেলে সবাইকে নিয়েই সরকার গঠন করা হবে।’
মতভিন্নতা থাকলেও জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আব্দুল মতিন সাউদ।
এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য যাতে অটুট থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেউ যাতে এমন কোনো বক্তব্য ও বিবৃতি না দেয় যাতে নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব পড়ে।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা বলেছি, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরলে আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ একে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বললে ঐক্য ফাটল ধরবে। এই মুহূর্তে দলগুলোর মধ্যে ফাটল-বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। সামনে এই দ্বন্দ্বে সুযোগ সংঘাত হতে পারে। সবার মধ্যে একতা, ছাড় দেওয়ার মানসিকতা, একসঙ্গে পথ চলে আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আসন বণ্টন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’