আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) যুক্তরাজ্যের বিদায়ী হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে সরকারপ্রধান তাকে এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাব।’
সাক্ষাতে টেকসই উপায়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছেন শেখ হাসিনা। বলেন, রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ বর্তমান শিশুর সঙ্গে ৪০ হাজার নবজাতক শিশু যোগ হয়েছে যা বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদের অবশ্যই নিজ দেশে যেতে হবে।
রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, তার দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছে।
কিছু স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকের আলাদা এজেন্ডা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র থাকায় চরম দারিদ্র্যের হার কমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে।
বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান চলাচল খাতে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত মার্চে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে দেশগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাধ্য করতে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে চায়।
শেখ হাসিনা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। কারণ যুদ্ধের জন্য সারা বিশ্বই ভুগছে। তিনি বলেন, আমরা সবসময় যেকোনো যুদ্ধের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ তার সব দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান করতে পারে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।