সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্যা হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় দেওয়া ওই সাক্ষাৎকার সোমবার দ্যা হিন্দুর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করা হয়েছে।
তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আপনার কোনো আপত্তি নেই এমন প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো একটি নির্দিষ্ট দল বা পক্ষকে নেওয়ার জন্য আমি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নই। আমি রাজনীতিকদের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করছি।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, ‘অন্তত এখন ভারতে অবস্থান করছেন, এটা কোনো সমস্যা নয়। বাংলাদেশ নিয়ে তার কথা বলাটা সমস্যা। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন, আর সেগুলো রাজনীতি নিয়ে। তিনি তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন, এটাই সমস্যা।’
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে সরাসরি ভারতকে অনুরোধ করা হলো না কেন?–জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, ‘তাকে ফিরিয়ে আনতে আমরা সব আইনি পথ অবলম্বন করব। আমি মনে করি, কিছু আইনি ধাপ রয়েছে। আমরা সেগুলোর দিকে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা এখনো ওই পর্যায়ে পৌঁছাইনি।’
ভারত বাংলাদেশের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এমন কিছু ধারা আছে। কিন্তু ভারত সরকার যদি তাকে সেখানে রাখতে এগুলো প্রয়োগ করে, তাহলে সেটা আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলবে না। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ খুব কম। তাই এই সময়ে হয়তো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সবকিছু মীমাংসা করা যাবে না। তবে আমাদের পরে যে সরকারই আসুক না কেন, তারা এটা ক্ষমা করবে না।’
সাক্ষাৎকারে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও আমেরিকার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন ড. ইউনূস। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত তিনি সঠিকভাবে অবগত নন। এটা অপপ্রচার, যা বিশ্বজুড়ে চলছে। কিন্তু যখন তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বাস্তবতা সম্পর্কে জানবেন, তখন জনাব ট্রাম্প অবাক হবেন যে তাকে কতটা ভিন্নভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।’