জাতিসংঘে প্রেস ব্রিফিং করেছেন মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। এসময় তিনি বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন। কথা বলেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। বিশেষ করে বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন দিক নিয়ে জাতিসংঘের বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের প্রেস ব্রিফিংয়ে স্টিফেন ডুজারিক আহ্বান করেন আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করার।
সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের জন্য জনগণের দাবিকে অযৌক্তিক হিসেবে নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। এর পেছনে আছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এ অবস্থায় নির্বাচনের আগে জাতিসংঘের সমর্থন পেতে বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে একটি চিঠি লিখেছে। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? প্রধান বিরোধী দলকে জেলে রেখে কি আরেকটি একপক্ষীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতে শাসকগোষ্ঠীকে পুরস্কৃত করবেন?
জবাবে ডুজারিক বলেন, আমি ওই চিঠি দেখিনি। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমি সবিস্তারে যা বলেছি এর আগে, এখনো তাই বলব। তা হলো— একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করি আমরা। তবে নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানান ডুজারিক। জাতিসংঘ অতিসম্প্রতি এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বলে ব্যক্ত করেন তিনি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দখলদার বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথমত ঐতিহাসিক ইভেন্ট এবং এসব ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি যথাযথ সম্মানপূর্বক আমি বলব, অনেক আগে ঘটে গেছে এমন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। আর কোনো ঘটনাকে গণহত্যা বলে চিহ্নিত করা মহাসচিবের কাজ নয়। এটা বিচার বিভাগের দায়িত্ব।