আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন করা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম। এছাড়া নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) নিজ নিজ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধানের কাছে শোকজের জবাবের চিঠি প্রতিনিধির মাধ্যমে তুলে দেয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধানগন স্ব স্ব আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও জুনায়েদ আহমেদ পলককে চিঠি দিয়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ আয়োজন করে যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টির দায়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সে ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে তলব করেন।
নাটোর-২ আসনের অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মোসা. শারমিন খাতুন জানান, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি ব্যাখ্যায় গত মঙ্গলবার নাটোর শহরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে শোভাযাত্রা বা সমাবেশের আয়োজন করেননি বলে জানান। দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার অজান্তে ওই কর্মসূচির আয়োজন করে। বিষয়টি জানার পরপরই আয়োজকদের ফিরে যাওয়ার ও রাস্তাঘাট ফাঁকা করে দেয়ার অনুরোধ করেন তিনি। এরপরও যানজট সৃষ্টি ও জনদুর্ভোগ হয়ে থাকলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছেন।
এদিকে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে নাটোর-৩ আসনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান পাবনা জেলা সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোস্তফা কামালের কাছে প্রতিমন্ত্রী পলক স্বাক্ষরিত শোকজের লিখিত জবাবের চিঠি তুলে দেন তার ব্যক্তিগত সচিব ও সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন।
এ ব্যাপারে জানতে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত সচিব মাওলানা রুহুল আমিন জানান, সিংড়ার সর্বস্তরের মানুষ ভোট নিয়ে উৎসাহী। মনোনয়ন জমা দেবার দিন আমরা চেষ্টা করেও নৌকা পাগলদের জনস্রোত ঠেকাতে পারিনি। তারা একেবারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দরজা পর্যন্ত চলে আসে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনিচ্ছাকৃত। তবুও প্রতিমন্ত্রী নির্বাচন কমিশন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দুঃখ প্রকাশ করে জবাব পাঠিয়েছেন। শুক্রবার তার (প্রতিমন্ত্রীর) শ্বশুরের কুলখানি অনুষ্ঠিত হওয়ায় ঘরোয়া আয়োজনে ব্যস্ত থাকায় নিজে উপস্থিত হতে পারেননি। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ২১ জন প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন নির্বাচন কমিশন।