শনিবার (২১ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে গার্ডিয়ান ও রয়টার্স।
জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম আহমদ বলেন, “ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড শুধু নৃশংসই নয়, বরং এটি জাতিসংঘের নৈতিক ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।”
তিনি বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে, তা গোটা মানবজাতির জন্য লজ্জার। পাকিস্তান উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, এই সহিংসতা গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
চীনের জাতিসংঘ প্রতিনিধি ফু চং বলেন, “ইসরায়েল ইরানের ভূখণ্ডে যে হামলা চালিয়েছে, তা সরাসরি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।”
রাশিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি বলেন, “ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করছে। এই ধরনের অপারেশন পুরো অঞ্চলজুড়ে সংঘাতের বিস্তার ঘটাতে পারে।”
তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষপাতিত্বমূলক নীতির সমালোচনা করে বলেন, এটি আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার প্রতি হুমকি।
আলজেরিয়ার প্রতিনিধি আমার বেনজামা ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ” বলে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, “এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু নিরীহ প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে না, বরং ভবিষ্যতের শান্তি আলোচনাও ব্যাহত করছে।”
এই চারটি দেশের নেতৃস্থানীয় বক্তব্যে স্পষ্ট—তারা ইসরায়েলের সামরিক কার্যক্রম ও যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর রাজনীতির তীব্র বিরোধিতা করছে। তারা জাতিসংঘকে আরও কার্যকর, নিরপেক্ষ ও মানবাধিকারনির্ভর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘের এই অধিবেশন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার একটি বড় প্রতিচ্ছবি, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিধর রাষ্ট্র গাজার মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।