নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফেরানো, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার না করা, দলীয় সরকারের সময় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করা, নির্বাচনে ধর্মকে ব্যবহার করতে না দেওয়া এবং প্রতিবন্ধকতা হলে বর্তমান কমিশনকে প্রয়োজনে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা (বিশিষ্টজন)।
বিশিষ্টজনরা বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সাহসী হতে হবে। জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা আমাদের দায়িত্ব। শতভাগ সফলতা কখনও সম্ভব না জানিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের আলাপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কেউ বলেছেন এটা যদি ৫০ শতাংশ বা ৬০ শতাংশ গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে এটাও একটা বড় সফলতা।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
দ্বিতীয় ধাপের এ সংলাপে বিভিন্ন পেশার ১৯ জন অংশ নেন। এর আগে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের প্রতীথযশা শিক্ষকদের সঙ্গে সংলাপ করেছিল কমিশন।
সিইসি বলেন, আলোচকরা বলেছেন, ভোট ব্যবস্থাপনার প্রতি ভোটারদের আস্থা ফেরাতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে উদ্যোগী হতে হবে। সেই সঙ্গে কমিশনকে কাজ দিয়েই প্রমাণ করতে হবে তারা নিরপেক্ষভাবে ভোট করবেন। গেল ফেব্রুয়ারিতে নতুন ইসি গঠনের পর ধারাবাহিক সংলাপ চলছে। দুই দফায় শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবিদের সঙ্গে বসলেন কাজী হাবিবুল আউয়ারল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
‘মোটা দাগে’ সবার মতামত তুলে ধরে সিইসি জানান, ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হয়। ভোটাররা ভোট দিতে না পারলে, বাধা এলে, পোলিং অফিসারদের তাড়িয়ে দেন- এমন হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় না। নির্বাচনটা অসম প্রতিযোগিতা হয়ে যায়। ভোটে সহিংসতার ব্যাপকতা থাকলে ভোটাররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এটা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামের্শ এসেছে। যারা ডিক্লেয়ার করে দিয়েছেন নির্বাচনে অংশ নেবেন না; কিন্তু তাদের অংশগ্রহণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কীভাবে আস্থায় আনা যায়, আমন্ত্রণ জানিয়ে ভদ্রভাবে আসার কথা বলে কিছুটা তাদের পরিবর্তন করা যায় কিনা।
সিইসি জানান, কমিশনকে সাহসী হতে হবে। সাহসের সঙ্গে সততাও থাকতে হবে। জীবনের শেষ প্রান্তে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন করতে পারি, যেসব পরামর্শ এসেছে তা বিবেচনায় নিয়ে এগোতে হবে। নির্বাচনটাকে যদি অবাধ, সুষ্ঠু করা যায় তাহলে সেটা সকলের অংশগ্রহণে হয় সেটা সফলতা হতে পারে। শতভাগ সফলতা হয়ত হবে না; কেউ কেউ বলেছেন ৫০-৬০ শতাংশও যদি গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে সেটাও বড় সফলতা।
তার মতে, বিগত সময়ে নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে অনেকে বলেছেন। আবার নারায়ণগঞ্জে ইভিএমে ভালো নির্বাচনের দৃষ্টান্তও রয়েছে।
সিইসি কাজী হাবিবুল বলেন, নির্বাচনে যাতে ধর্মের ব্যবহার না হয়, সেটাও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখবো বলে যোগ করেন তিনি। ভোটের আগে এবং ভোটের পরে ভোটারদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ভোটার সেন্টারে যেতে পারবে কিনা?ভোটার তার সেন্টার থেকে বের হয়ে নিরাপদ কিনা? ওসি-ডিসিদের মাধ্যমে ওই জায়গাটা দেখতে পারলে ভালো হয়। নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধানের অভাব নাই। কিন্তু এনফোর্সমেন্টের ঘাটতি আছে। বাস্তবে ঘাটতি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট ক্যাপাসিটিটা আরও বর্ধিত করতে পারি কিনা? লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, এটা একটা কষ্টসাধ্য কাজ। আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা চেষ্টা করবো।
বিশিষ্টজনদের পরামর্শের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ইভিএম-এ কোনো অসুবিধা আছে কিনা; অনেকে অভ্যস্ত নন। মেশিনের মাধ্যমে ভোটে কোনো ডিজিটাল কারচুপি হয় কী না-এটা আমাদেরকে দেখতে হবে। ইভিএমের প্রতি আস্থা নিয়ে কথা উঠেছে। তিনি জানান, ইভিএমে ভালো দিক রয়েছে, দ্রুত গণনা হয়ে যায়। কিন্তু পুনগণনার সমস্যা রয়েছে; ব্যালটে পুনগণনা করা যায়। কারিগরি কমিটির মিটিং করে আমাদের ইভিএম সম্পর্কে এটা ধারণা নিতে হবে। কেউ কেউ বলেছেন, সঠিক হলে তা চালিয়ে যেতে হবে। কাজে না লাগলে বর্জন করাই ভালো। এসব মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মকে যেন নির্বাচনে কোনোভাবে উপজীব্যতা না পায়। নির্বাচনে এটাকে কাজে না লাগায় এটা অবশ্যই আমরা দেখবো।
সিইসির মতে, যে দল সরকারের থাকে তাদের কিছুটা বাড়তি এডভান্টেজ থাকে। কারণ, প্রশাসন, পুলিশ সবই তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইসি তাদের উপর কতটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে, আইনের কোনো অভাব নেই। কিন্তু প্রয়োগের দিক থেকে বাস্তব ঘাটতি রয়েছে। আমরা এনফোর্সমেন্টটা যেন ভালোভাবে করতে পারি সেটা চেষ্টা করবো। এনফোর্সমেন্ট ক্যাপাসিটি আরও বাড়াতে পারলে তৃণমূলে ভোটারদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি হয়। তাহলে কেন্দ্রে কেন্দ্রে গন্ডগোল হবে না; আমরা অনুকূল পরিবেশ পাবো। সবার সহযোগিতা চান সিইসি।
সংলাপে অংশ নিয়ে বিশিষ্টজনদের মধ্যে সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ইভিএমের ব্যবহার অত্যন্ত বিতর্কিত বিষয়। এটা থেকে দূরে থাকা ভালো। ইভিএম নিয়ে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও জটিল করতে দিতে পারে। ইভিএম ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহার করা উচিত নয়।
দেবপ্রিয় বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনার উপর আস্থা ফিরিয়ে আনারই চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনকালীন আইন-বিধির যথাযথ প্রয়োগ করতে পারেন কিনা তা দেখা যাবে। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। সাহসিতার সঙ্গে কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন, প্রতিবন্ধকতা এলে পদত্যাগের সাহস রাখবেন।
সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইভিএম ব্যবহার করলেই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। একটি ভালো ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন দেবেন। লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ যন্ত্রে যে ম্যানুপুলেট করা যায় না-তা নিশ্চিত না করে ব্যবহার করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন বলেন, ইভিএম সব সময় বিতর্কিত। এটার সমাধান না করে ব্যবহার করা ঠিক নয়। জোরের সঙ্গে বলবো- ইভিএম ব্যবহার না করার জন্যে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ইভিএম এর বিরোধিতা করে বলেন, বিনা টেন্ডারে কিভাবে ইভিএম এলো। ইভিএম নিয়ে একজনের এত উৎসাহ কেন, তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। কোনোভাবে বড় পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। চাইলে ৫-১০ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে পারে, তবে এটা না হওয়াই ভালো। দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করুন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। নিরপেক্ষ থেকে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনদের সবাই। আস্থা ফেরাতে কাজ দিয়ে নিজেদের প্রমাণ করার পরামর্শ দেন তারা। নিষিদ্ধ জামাতের নিবন্ধন ঝুঁলিয়ে না রেখে সিদ্ধান্ত নিতে সিইসির প্রতি আহবান জানান। বলেন, নির্বাচনী মামলা ট্রাইব্যুনালে ৬মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান থাকলেও ৫বছর পরও শেষ হয় না।
লিডারশিপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. সিনহা এম এ সাঈদ, বলেন, ইসি এত সংলাপ করার মানে হচ্ছে এখানে সংকট রয়েছে। আপনার কাজ দিয়ে প্রমাণ করুন, আস্থা অর্জন করুন সবার। নির্বাচনের সময় কতটুকু নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারেন সংশয় রয়েছে। আমি আশাবাদী মানুষ।
নির্বাচনকালীন সরকারের চরিত্রের ধরণ, কেমন নির্বাচন হবে- এ নিয়ে বিদ্যমান আইন বিধিতে কি ধরনের পরিবর্তন আনা যায় সে বিষয়ে কাজ পরার পরামর্শ দিয়েছেন টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্যে আইনে কোনো পরিবর্তন করা যায় কিনা তা চিহ্নি করেন আপনারা। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন টিআইবিরর এই নির্বাহী। সরকারের অনুগত না থেকে রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে ইস্তফা দেবেন। সব অংশীজন, ভোটার, আমরা আপনাদের পক্ষে আছি।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ভোটাররা নির্বাচনবিমুখ হয়ে পড়েছে। ইসি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অতীতের ভুলভান্ত্রি স্বীকার কাজ এগিয়ে নিতে হবে। তিনি জানান, ক্ষমতায় থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। গত দুটি নির্বাচনে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়টি সরকার প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন জানান, ভোটের-আগে পরে ছয় মাস নির্বাচনকালীন কর্তৃত্ব কমিশনের কাছে থাকা উচিত। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে একাদশ সংসদের অধিবেশন থাকবে না। এ জন্যে ভোটের আগে চার মাস, ভোটের পরে দুই মাস- এ ছয় মাসের জন্য ক্ষমতা ইসির হাতে থাকতে পারে। আস্থা অর্জন করতে পারলে সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট করা সম্ভব।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, সার্চ কমিটির কারণে বর্তমান কমিশন কিছুটা আস্থা সংকটে পড়েছে। সবার নাম প্রকাশ করেনি কমিটি। এছাড়া নূরুল হুদা কমিশনের সাবেক সচিব ও আরেক সাবেক সচিবের শ্বশুর আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় নতুন ইসির দুই সদস্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জোনায়েদ সাকি ও মাহমুদুর রহমান মান্নার দলের নিবন্ধন দেওয়ারও অনুরোধ করেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সাহসী পদক্ষেপ ও সত্য বলার পরামর্শ দিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এমটি কঠিন সমস্যা, দেশের বিরাট একটি রাজনৈতিক দল বয়কট করে বেড়াচ্ছে। এটাতে সমস্যা। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না অনেকে বলেছেন।
যারা অংশ নিয়েছেন :
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, লিডারশিপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. সিনহা এম এ সাঈদ, লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মন্ডল, সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বেগম শাহীন আনাম, নিজেরা করি’র কো-অর্ডিনেটর খুশী কবির, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ ইনডিজিনিয়াস পিপলস ফোরাম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং ও সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ (সিইউএস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ঢাবি আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, গভর্নেন্স এ্যান্ড রাইট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট জহুরুল আলম, ঢাকি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক শামীম রেজা, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দীন আহমেদ। সোমবার মতামত দেওয়ার জন্য ৪০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাদের অর্ধেকই এদিন আসেননি। শুরু থেকেই অংশগ্রহণমূলক ভোট আয়োজনে রাজনৈতিক সমঝোতার তাগাদা দিয়ে আসছেন নতুন সিইসি। দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদদের মতামত নেয় তার নতুন কমিশন, ২২ মার্চ বসেন দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে। মাসের শেষে গণমাধ্যমব ব্যক্তিদের সঙ্গে সবার কথা রয়েছে। এর পরা নির্বাচন পর্যবেক্ষকসহ আরও কিছু প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করে সর্বশেষ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ দিয়ে এ পর্ব শেষ করবে কমিশন।