নিবন্ধনের শর্ত পূরণের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৪৪ দলকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া সময় শেষ হচ্ছে আজ (৩ আগস্ট)। এদিন বিকেল ৫টার মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ইসির কাছে পেশ করতে হবে দলগুলোকে।
এ অবস্থায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে হাজির হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী ও দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ একটি প্রতিনিধি দল।
রোববার (৩ আগস্ট) নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে বেলা ১২টার পর ইসি ভবনে প্রবেশ করে এনসিপির প্রতিনিধি দলটি। দলে রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ অঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত ২২ জুন পর্যন্ত ১৪৪টি দল নিবন্ধন পেতে ১৪৭টি আবেদন করেছিল। তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দলই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তাই সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৪৪টি দলকেই প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। আজ সেই সময় শেষ হচ্ছে।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়াও কোনো দলের কেউ পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে বা পূর্বের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। এই প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব নিয়ম কানুনগুলোই সাধারণত খেয়াল করা হয়।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর সেই দলগুলোর তথ্যাবলি সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করে দাবি আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন। সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে ইসি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। দলগুলো হলো- জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে।