নিজ জন্মস্থান নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা পেমই গ্রামের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ। শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে তাকে তার জন্মস্থানের প্রিয়জনরা শেষ বিদায় জানান। তবে তার গ্রামের মানুষের আফসোস একটাই তিনি রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ও জীবিত অবস্থায় গ্রামে আসেননি। শনিবার পেমই গ্রামে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে মরদেহ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় বনানী কবরস্থানে দাফন করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
জানাজার পূর্বে সাবেক রাষ্ট্রপতির ছোট ছেলে সোহেল আহমেদ অলিক বক্তব্যে বলেন, আমার বাবা এলাকার জন্য সবসময় খোঁজ খবর নিতেন। কিন্তু আমার বাবাকে জীবিত অবস্থায় নিজ বাড়িতে আনতে না পারায় ক্ষমা প্রার্থী। আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মইনউদ্দিন খন্দকার সাবেক রাষ্ট্রপতির কফিনে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মহামান্য সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ ছিলেন সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
এদিকে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সাহাবুদ্দীন আহমদকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলৈন। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, সেখানে ভর্তি করানোর পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে রাষ্ট্রপতি করা হয়।