মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে আসামির বাড়ির পেছনে থাকা পরিত্যক্ত পুকুর থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্র রোমান শেখ (১৫)-এর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজের ঘটনায় দায়ের করা অপহরণ মামলার প্রধান আসামি সিয়াম ওরফে জিহাদের (১৯) বাড়ি শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের ছয়গাঁও গ্রামে। সেখানে পরিত্যক্ত একটি পুকুর থেকে রোমান শেখের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা আসামির বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর মরদেহটি গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় পুকুরে ফেলা হয়েছিল।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ইমরান খান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও বিক্ষুব্ধ জনতার বাঁধার কারণে মরদেহ উদ্ধার করতে সময় লেগেছে। বিক্ষুব্ধরা আসামির বাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে তিনি জানান। পরে সেনাবাহিনী আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। নিহত রোমান শেখের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রোমান শেখ (১৫) সিরাজদিখান উপজেলার থৈরগাঁও গ্রামের মিরাজ শেখের ছেলে।
এছাড়া মামলার প্রধান আসামি সিয়াম ওরফে জিহাদ (১৯) শ্রীনগরের ছয়গাঁও এলাকার রফিক ফকিরের ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত ২১ জানুয়ারি সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের থৈরগাঁও এলাকা থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন নিখোঁজ রোমান। পরে ২৫ জানুয়ারি তিন জনের নামোল্লেখ করে অপহরণের মামলা দায়ের করে তার পরিবার। পুলিশ তিনজনকে আটক করে আদালতে পাঠালেও রোমানের সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ রোমানের সন্ধান দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে সিরাজদিখান থানায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়।