চার উইকেট হাতে রেখে ৭৩ রানের লিড নিয়ে ম্যাচের চতুর্থ দিন (মঙ্গলবার) শুরু করা বাংলাদেশ দল জমা করেছে আরও ৫৭ রান। নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসের ৩২৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে মুমিনুল হকদের ইনিংস থামে ৪৫৮ রানে। এতে প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে-ওভালে আগের তিন দিন দাপট দেখানো বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য ছিল লিডটাকে ১৪০-১৫০ এ নেওয়া। দলকে সে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে গেছেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ এবং ইয়াসির আলি রাব্বি। মিরাজের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ১৩০ রানের লিড টাইগারদের। কোনো অঘটন না ঘটলে বলা যেতে পারে, এই টেস্টের নাটাই সফরকারীদের হাতে।
শেষ ১৩ রানে বাকি ৪ উইকেট না হারালে লিডটাকে আরেকটু বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল। লেজের দিকে ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে না পারায় ৪৫৮ রানেই থামতে হয় বাংলাদেশ দলকে।
ইয়াসির ১১ এবং মিরাজ ২০ রান নিয়ে দিন শুরু করেন। তবে শুরুতেই ফিরতে পারতেন মিরাজ। দিনের ১৪তম বলে স্পিনার রাচিন রবীন্দ্রকে সুইপ করত গেলে ব্যাট-বলের টাইমিং করতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের আবেদনে আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউন আঙুল তোলেন। মিরাজ সতীর্থ ইয়াসিরের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন। এ যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।
বিপদ হয়েছিল পরের ওভারেও। এবার পেসার নেইল ওয়াগনারের ভেতরে ঢোকানো বলে এলবিডব্লিউ মিরাজ। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল বেশ আত্মবিশ্বাসী। রিভিউতে দেখা যায়, বল তার প্যাডে আঘাতের আগে ব্যাটে আঘাত করে। দুবার বেঁচে যাওয়া মিরাজ পরে বিদায় নেন ফিফটির কাছে গিয়ে বাজে শট খেলে।
অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান আগে টিম সাউদির শিকার হন তিনি। এতে সপ্তম উইকেট জুটিতে ইয়াসির-মিরাজ ৭৫ রানে পার্টনারশিপ ভাঙে। পরে ইয়াসির ২৬ রান করে আউট হলে তাসকিন আহমেদ (৫), শরিফুল ইসলামও (৭) দ্রুত বিদায় নেন।
নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসের ৩২৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে মুমিনুল হকদের ইনিংস থামে ৪৫৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। কিউইদের হয়ে বোল্ট ৪টি এবং ওয়েগনার ৩ উইকেট নিয়েছেন।