জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সফরসূচি অনুযায়ী, ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর দুই দিনের যাত্রাবিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি নিউ ইয়র্কে অবস্থান করবেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে তিনি বাংলায় ভাষণ দেবেন। এর আগে জাতিসংঘে ১৭ বার ভাষণ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এবার হবে তার ১৮ তম ভাষণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার সাধারণ পরিষদে প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘আশা’। কোভিড মহামারির কারণে অর্থনীতি যে ধাক্কা খেয়েছে, সেটি দূর করে আশা জাগানোর জন্যই তা রাখা হয়েছে। এবারের অধিবেশনে আরেকটি বিষয় গুরুত্ব পাবে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তন। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশ সাইডলাইনে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বেশ কয়েকটি বৈঠক হবে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, মালদ্বীপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কথা রয়েছে। এ ছাড়া বারবাডোজের প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গেও বৈঠক হবে।
আফগানিস্তান সমস্যার কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু হারিয়ে যাচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি হারিয়ে যাচ্ছে না। রোহিঙ্গা শব্দটি এখন সবাই জানে এবং বাংলাদেশের কারণে এটি পরিচিত একটি নাম। তারা যে নির্যাতিত হয়েছে, এটি সবাই জানে। রোহিঙ্গা নিয়ে নতুন কোনো প্রস্তাব থাকবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাব আগেই দিয়েছি। নতুন করে আর কিছু দিতে চাই না।’
জানা গেছে, এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশের ৫০ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। এছাড়া থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, প্রধানমন্ত্রী তনয়া সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। এছাড়া থাকছেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আগামী ১ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।