প্যারিস অলিম্পিকে মেয়েদের বক্সিংয়ে ৬৬ কেজি ক্যাটাগরিতে স্বর্ণ পদক জিতেছিলেন ইমানে খেলিফ। তবে প্রতিযোগিতায় স্বর্ণজয়ী এই আলজেরিয়ান বক্সারকে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন একাধিক প্রতিযোগী। মূলত তারা প্রশ্ন তোলেছিল, তার লিঙ্গ নিয়ে।
এক নারী প্রতিযোগি সরাসরি ইমানেকে পুরুষ বলেও সন্দেহ পোষণ করেছিলেন। কিন্তু সে সময় অলিম্পিকের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। যদিও তারা বলেছিল অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। কিন্তু ওই ঘটনার প্রায় তিন মাস পর জানা গেল ইমানে খেলিফ আসলেই নারী নন!
সম্প্রতি ফরাসি এক গণমাধ্যম, ২৫ বছর বয়সী এই আলজেরিয়ান বক্সারের সর্বশেষ মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানেই দেখা গেছে ইমানে খেলিফ নারী নন, তিনি একজন পুরুষ। তাতেই তার জেতা স্বর্ণপদক ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
ফরাসি সাংবাদিক জাফফর আইত আওদিয়া ইমানে খেলিফের মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে এনেছেন। প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, খেলিফ ৫-আলফা রিডাক্টেস ডেফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন। মেডিক্যাল রিপোর্টের অংশ এমআরআইতে বলা হয়েছে যে, খেলাফের জরায়ুর অভাব রয়েছে, অভ্যন্তরীণ শুক্রাশয় রয়েছে এবং একটি বর্ধিত ভগাঙ্কুরের মতো একটি ‘মাইক্রোপেনিস’ রয়েছে।
এর আগে প্যারিস অলিম্পিকের ৬৬ কেজি ক্যাটাগরির নারী বক্সিংয়ের শেষ ১৬ এর লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় ইতালিয়ান বক্সার অ্যাঞ্জেলা কারিনি ও ইমানে খেলিফ। ওই ম্যাচ শুরু হওয়ার ৪৬ সেকেন্ডের মধ্যেই অ্যাঞ্জেলা হার মেনে কাঁদতে কাঁদতে রিং ছেড়ে বেড়িয়ে যায়। পরে ওই ম্যাচ নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আমার জীবনে কখনো এত জোরে আঘাত পাইনি।’