হেফাজতে ইসলামের পূর্বঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা হরতালে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায়। এসময় জেলা পুলিশ সুপারসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়াও দু’জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি। রোববার (২৮) মার্চ বেলা ১১টার দিকে হেফাজতে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা চেষ্টা করলে নেতাকর্মীরা সরে না যাওয়ায় এক পর্যায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিজিবির সদস্যরা। এই সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও এদিন হরতাল সমর্থকরা মাদানীনগর, সানারপাড় ও সাইনবোর্ড এলাকায় ১০/১৫টি গাড়ি ভাংচুর করেছে। এ সময় মাদানীনগর এলাকায় একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে পিকেটাররা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে রোববার সকাল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। পুলিশের উপস্থিতিতে নেতাকর্মীরা শিমরাইল ইউটার্ন এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিয়ে সড়কে বাঁশ, কাঠ, বেঞ্চ ও টায়ারসহ অন্যান্য জিনিসে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। রাস্তায় আগুন দিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
এর আগে সকালের দিকে হরতালের সমর্থনে নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গায় টায়ার, গাছের গুঁড়ি ও কাঠজাতীয় আসবাবে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেছন। সকাল সোয়া ১০টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ মৌচাক এলাকায় পরিস্থিতি সামলানোর জন্য বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়েন পুলিশ।