দেশব্যাপী পালিত হলো বাংলা নববর্ষ। রমজান হওয়ায় সকালে পান্তা-ইলিশের আয়োজন ছিল না। আর আইনশৃঙ্খলার যাতে অবনতি না হয় সেজন্য দুপুর ১২টার মধ্যেই শেষ করতে হয়েছে নতুন বছরের সব আনুষ্ঠানিকতা। তবে বেলা দুইটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনেককেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।
দুই বছর পর বাংলা বর্ষবরণে হাজারো মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। মহামারির গ্লানি ভুলে সুসময়ের বার্তা নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ছাত্রকেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।
এর আগে সকালে রমনা বটমূলে সকাল সোয়া ৬টায় নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সম্মিলিত কণ্ঠে ছায়ানটের শিল্পীরা রবীন্দ্রসংগীত ‘মন, জাগ মঙ্গললোকে’ গানের মধ্য দিয়ে এবারের আয়োজন শুরু করেন। ছায়ানটের ৮৫ জন শিল্পী এবারের বর্ষবরণ উৎসবে অংশ নেন। এ সময় একে একে মঞ্চের সামনে প্রবেশ করে মানুষ। বটমূলের সামনে এসে উপস্থিত হন দর্শক শ্রোতারা।
আজ সরকারি ছুটি হওয়ায় রাজধানীর রাস্তাঘাটে তেমন যানজট ছিল না। তবে টিএসসিমুখী যান ছিল বেশি। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে বৈশাখী র্যালি আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।
বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কর্তৃক বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে নববর্ষ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে। সব সরকারি-বেসরকারি টিভি, বাংলাদেশ বেতার, এফএম ও কমিউনিটি রেডিও বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং বাংলা নববর্ষের ওপর বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি চ্যানেলসমূহ রমনা বটমূলে ছায়ানট আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করেছে। যারা বিভিন্ন কারণে ঘরের বাইরে যেতে পারেননি তারা টিভির অনুষ্ঠান দেখে সময় কাটাচ্ছেন।