টস অনুযায়ী ভারত চ্যাম্পিয়ন। বাইলজ অনুযায়ী টস হয় না, সাডেন ডেথে খেলা চলবে। ম্যাচ কমিশনার ভুল স্বীকার করে ভারতকে খেলায় ডাকেন। তারা খেলায় আর আসেনি। এই নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা৷ কিন্তু টসে ভারত জেতায় এবং সিদ্ধান্ত হওয়ায় ম্যাচ কমিশনার ও সাফ মিলে মাঝামাঝি সিদ্ধান্ত নেয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালের শুরুতে লিড নেয় ভারত৷ ৮ মিনিটে রক্ষণ দুর্বলতা ও গোলরক্ষকের ভুলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে। ভারতীয় মিডফিল্ডার নিতু লিন্ডার থ্রুতে বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বল পান শিবানী দেবী৷ বাংলাদেশের গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী বক্সের সামনে এসে বলের নাগাল পাননি৷ শিবানী বুদ্ধিদীপ্তভাবে প্লেসিংয়ে বল জালে পাঠান।
৮ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল ভারতের। বক্সের মধ্যে গোলদাতা শিবানী দেবী ভালো পজিশনে বল পান। তার নেয়া ডান পায়ের শট পোস্টের সামান্য উপর দিয়ে যায়৷ তাতে এ যাত্রায় রক্ষা পায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে৷ তবে সমতা আনার মতো সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিক দল৷ ৩৫ মিনিটে স্বপ্না রাণীর দুই জনকে কাটিয়ে শট নিলেও বাইরে দিয়ে যায় ৷ প্রথমার্ধে বাংলাদেশ তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু আক্রমণ করেও যেন গোলের দেখা মিলছিল না। ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। ভারতের শিরোপা উদযাপনের অপেক্ষা। সেই মুহূর্তে সাগরিকা গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচ ফেরান। আফিদা খন্দকারের থ্রো ইন থেকে সাগরিকা বক্সের আগে সৃষ্ট জটলা থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন৷ নিজ প্রচেষ্টায় বক্সে বল নিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন।
টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী নির্ধারিত সময় সমতা থাকলে খেলা সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানেও ১১-১১ গোলে সমতা হয়। এর ফলে টসের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়। টস ভাগ্যে জয় হয় ভারতের। তবে এই টস করা নিয়ে আপত্তি জানাতে থাকেন বাংলাদেশি খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। পরে সিদ্ধান্ত বদলান ম্যাচ কমিশনারও।