পেটের পীড়ার কারণে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্বকাপের আগে ঝুঁকিও নিতে চাননি পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। তবুও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্বার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগাল। ৪-০ গোলে আফ্রিকান দেশটিকে উড়িয়ে দিয়েছে পর্তুগিজরা।
লিসবনে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ম্যানসিটি তারকা ব্রুনো ফার্নান্দেজ। বাকি দুই গোল করেছেন হোয়াও মারিও এবং অভিষিক্ত গনকালো রামোস।
বৃহস্পতিবার রাতে এই জয়ের স্মৃতি নিয়ে আজই (শুক্রবার) দোহার উদ্দেশ্যে বিমানে উঠবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে রোনালদোর অনুপস্থিতিতে পর্তুগিজ দলটিকে নেতৃত্ব দেন ব্রুনো ফার্নান্দেজই।
প্রস্তুতি ম্যাচে পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস একটি চমক দেখান। ডিফেন্ডার পেপের পরিবর্তে মাঠে নামান ১৯ বছর বয়সী বেনফিকা ডিফেন্ডার আন্তোনিও সিলভাকে।
লিসবনের অ্যালভালেড স্টেডিয়ামের পুরো গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। কোনো টিকিটই বাকি ছিল না খেলা দেখার জন্য। পুরো প্যাকড স্টেডিয়ামকে খেলার ৯ মিনিটের মাথায় আনন্দে ভাসান ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
হোয়াও ফেলিক্সের কাছ থেকে বল পেয়ে দিয়েগো দালত সেটি এগিয়ে দেন ফার্নান্দেজের কাছে। সুযোগটা কাজে লাগাতে মোটেও বিলম্ব করেননি ব্রুনো। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল।
খেলার ৩৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজই। এবার তিনি গোল করেন পেনাল্টি থেকে। বার্নার্ডো সিলভার শট বক্সের মধ্যে হাত দিয়ে ঠেকান নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার ওসাই স্যামুয়েল।
ম্যাচের শেষ অংশে গিয়ে বাকি দুই গোল করে পর্তুগাল। ৮২তম মিনিটে গনকালো রামোস এবং ৮৪তম মিনিটে হোয়াও মারিও গোল দুটি করেন।
বড় জয়ের পরও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। তার মতে আরও ভালো হতে পারতো। তিনি বলেন, ‘পারফেকশন ছিল না বটে, কিংবা এটাকে ভালোভাবে শেষ করেও আসা যায়নি হয়তো। তবে আমরা দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছি। প্রতিটি লেভেলেই আমরা প্রভাব বিস্তার করে খেলেছি।’