নরসিংদীর রায়পুরা থানা হেফাজতে সুজন মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সুজন মিয়া রায়পুরা উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে। সুজন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে আটক ছিলো। পুলিশের দাবি আত্মহত্যা করেছে সে। বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রায়পুরা থানা হাজতখানার টয়লেট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রীকে হত্যার মামলায় পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সুজন মিয়াকে আদালতে নেওয়া হয়। বিজ্ঞ বিচারক তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর মঙ্গলবার বিকালে সুজনকে রায়পুরা হাজতে রাখা হয়। থানায় সুজনের সঙ্গে আরও এক আসামি ছিলো।
জানা গেছে, গত রোববার ভোরে গৃহবধূ লাভলী আক্তারকে (৩০) ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ ওঠে স্বামী সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে। এরপর সোমবার রাতে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি দরবার শরিফ এলাকা থেকে সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার সকাল থেকে সুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার কথা ছিলো।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার কে এম এম জাহাঙ্গীর বলেন, সুজন মিয়া নামের ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। তার গলায় ফাঁস নেওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা ও রায়পুরা থানা পুলিশ কর্তৃক আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন