বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সবসময়ই অবহেলিত এই সাবেক অধিনায়ক। অথচ আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আমন্ত্রণে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন শারজা স্টেডিয়ামে গতকাল। সেখানেই বংলাদেশের ম্যাচ দেখতে এসে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও বোর্ডকে নিয়ে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিসিবিতে পরিবর্তন এসেছে। নতুন বোর্ড প্রধান হয়েছেন ফারুক আহমেদ। এটাকে খুব বড় করে দেখছেন না আমিনুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন যে কারেন্ট বোর্ড আছে সেটা ধরেন কোন রকমে চলছে। ইনফ্যাক্ট কোন পরিবর্তন হয়নি। দুজন নতুন পরিচালক এসেছেন এনএসসির মাধ্যমে। তার মধ্যে একজন প্রেসিডেন্ট আরেকজন ফাহিম ভাই। আমি বলব এটা ইনকমপ্লিট ক্রিকেট বোর্ড। নতুন কিছুই ঘটেনি বা দেখতে পাচ্ছি না। সো ইটস নাথিং নিউ।’
এদিকে বাংলাদেশে কোচ বদল হয় ঘনঘন। এটারও বিপক্ষে আমিনুল ইসলাম, ‘জাতীয় দলে যারা কোচ হয় তারা কিন্তু স্কিল শেখায় না, ট্যাকটিস শেখায় না। তারা কাজ করে মানসিক অবস্থা নিয়ে। এখানে ভাষা একটা বড় ব্যাপার, সংস্কৃতি একটা বড় ব্যাপার। আর যদি নতুন কোচ বারবার পরিবর্তন হতে থাকে এতে কোনো উপকার হয় না, অপকারই হয়।’
সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নিয়োগে অবশ্য খুশি তিনি, ‘সালাউদ্দিন এর আগেও সহকারী কোচ ছিল। সালাউদ্দিনের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সে খুবই সফল কোচ। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সে বাংলায় কথা বলে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি জানে। উপমহাদেশে কোচিংয়ের তিনটা ভাষা ব্যবহার করা যায়। একটা হচ্ছে তুই, একটা তুমি এবং একটা আপনি। সালাউদ্দিনের সাথে বেশিরভাগ ক্রিকেটারের সম্পর্ক হচ্ছে ‘তুই’। এটা একটা বড় সুবিধা, এটায় কাছের করে নেয়া যায়। সালাউদ্দিনের অভিজ্ঞতা, ওর মান প্লেয়ারদের সাইকোলজি বোঝা-সবমিলিয়ে সে দারুণ চয়েজ।’