শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইমরান খানের দল পিটিআই এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান এ ঘোষণা দিয়েছেন।
গহর আলী খান বলেন, ‘পিএমএল–এন ও পিপিপির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি না।’
১৫০টি আসনে পিটিআই জয় পেতে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা (পিটিআই) কেন্দ্রে এবং পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে সরকার গঠন করব।’
গহর আলী খান বলেন, ‘আমরা কেন্দ্র এবং পাঞ্জাবে সরকার গঠন করব।’
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই গতকাল বৃহস্পতিবার ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে এবার ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানে এবার কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না–ও পেতে পারে।
সর্বশেষ ঘোষিত ফলাফলে পিএমএল-এন এবং পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে দেখা গেছে। তবে এগিয়ে ইমরান সমর্থিতরা।
উল্লেখ্য, আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় শুরু হওয়া ভোট চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সংঘাতপূর্ণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিনে পাকিস্তানজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল মোবাইল পরিষেবা। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থে এই উদ্যোগ নেয় দেশটির সরকার। তবে আজ পাকিস্তানে মুঠোফোন সেবা চালু রয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে সবমিলিয়ে ১৭ হাজার ৮১৬ জন প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে পাঁচ হাজার ১২১ জন ও আঞ্চলিক নির্বাচনে ১২ হাজার ৬৯৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে ১১ হাজার ১৭৪ জন পুরুষ ও ৬০৭ জন নারী।