সোমবার (১০ এপ্রিল) দিনভর ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করেছে ডিএসসিসি। তবে আজ পুরো কাজ শেষ হয়নি। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে কাজ শেষ হবে। বুধবার সকাল থেকেই ব্যবসায়ীরা দোকান পেতে বসতে পারবেন।
গত ৪ এপ্রিল ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী। ঈদের আগে এই অগ্নিকাণ্ডে চোখে-মুখে তারা অন্ধকার দেখছেন।
গতকাল রোববার (৯ এপ্রিল) বিকেলে নগর ভবনে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে তালিকা প্রণয়ন শুরু হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করা যায়নি। আমরা আশা করছি শিগগির পূর্ণাঙ্গ তালিকা সম্পন্ন হবে। এছাড়াও তাদের পুনর্বাসনের জন্য সব মহল থেকেই আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। এরই মাঝে দুই কোটি টাকা তহবিলে জমা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার আমাদের করপোরেশন সভা আছে। সেখানে আমরাও সিদ্ধান্ত নেব। আমরাও এই তহবিলে অংশগ্রহণ করব। যাতে করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসিত হতে পারে এবং আমরা আশা করছি যে, আগামী মঙ্গলবারে না হলেও বুধবার নাগাদ যেন তারা সেখানে চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে। এজন্য পরিষ্কার করার পরে সেই জায়গাটা সমতল করব। পুরো ব্যবস্থাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপেরেশন করে দেবে। তারপর চৌকি বিছিয়ে তারা সেখানে ব্যবসা শুরু করতে পারবে।
বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন জানান, বুধবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের (ডিএসসিসি) মেয়র দোকান উদ্বোধন করবেন। এরপর থেকে ব্যবসায়ীরা অস্থায়ীভাবে দোকান করার সুয়োগ পাবেন।
শাহাদাত জানান, এই কমপ্লেক্স তিন তলা ছিল। তারা ক্ষতিগ্রস্ত নিচতলার ব্যবসায়ীদের জন্য এখন ব্যবস্থা করছেন। অন্যদের জন্য এখনই ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।
গত ৪ এপ্রিল সকালে বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট পর্যায়ক্রমে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। শেষ পর্যন্ত ৭৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভে গেলেও কিছু রেখে যায়নি স্মরণকালের ভয়াবহ এই আগুন। সব কিছু পুড়িয়ে ব্যবসায়ীদের নিঃস্ব করে থেমে যায় আগুন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান পুড়েছে। এতে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।