শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তারা এই মত দেন।
বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
নজরুল ইসলাম খান জানান, বৈঠকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। নিজেদের ভেতরে এবং শরিকদের সঙ্গে আরও আলোচনার পর যৌথভাবে কিংবা যার যার অবস্থান থেকে চূড়ান্ত অবস্থান জানানো হবে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেটা হবে যখন জনগণ অবাধে, নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিতে পারবে।
তিনি বলেন, বিএনপি, ১২ দলীয় জোট এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলো দীর্ঘদিন যে আন্দোলন-সংগ্রাম করে এসেছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই আন্দোলন ও ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি। তিনি বলেন, আগামীতে সেটা আরও গভীরভাবে অনুভূত হবে।
ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যে ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার প্রেস সচিব বলেছেন ৩০ জুন। আমরা চাই, সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। সংস্কারের নামে নির্বাচনে দেরি করা ঠিক হবে না। আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর আন্দোলন করেছি এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। বাংলাদেশে সব সমস্যার সমাধান হবে যদি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি, কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আরও আলোচনা হবে।
বিকেলে প্রথমে ১২–দলীয় জোট, এরপর জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও সর্বশেষ লেবার পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় হয়। এতে ১২–দলীয় জোটের পক্ষে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ, লেবার পার্টির (একাংশ) মো. ফারুক রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম ও জাগপা রাশেদ প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ১১টি দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ লেবার পার্টি নেতারা বিএনপির লিয়োজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।