বেঙ্গালুরুতে কাল টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে সূচনাটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দলীয় ১৮ রানেই সাজঘরে ফিরেন ওপেনার যশ্বসী জয়সোয়াল। এরপর স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৪ রান যোগ হতেই একে একে আউট হন বিরাট কোহলি, শিবম দুবে এবং সাঞ্জু স্যামসন।
২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া ভারত এরপর ইনিংস শেষ করেছে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ২০ ওভারে ২১২ রান করে। আর বড় এই সংগ্রহ গড়তে অধিনায়ক রোহিত খেলেছেন ৬৯ বলে ১২১ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস। ১১ চার আর ৮ ছয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেয়া রোহিতকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন রিঙ্কু। অপরপ্রান্তে তিনি খেলেছেন ৩৯ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। এ দুজনের দারুণ ইনিংসের সুবাদের ২১২ রান সংগ্রহ করে ভারত।
এদিকে বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরুবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান মিলে উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৯৩ রান। ৩২ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়ে গুরুবাজ ফেরার দ্রতই ফিরেন জাদরানও। তবে এরপর আফগানদের পথ দেখিয়েছেন গুল্বাদিন নাইব, সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবীকে। এদুজনের ব্যাটেই আফগানিস্তানও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে করে ২১২ রান। ফলে ম্যাচ টাই হলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
এদিকে প্রথম সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে গিয়ে প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরেন গুলবাদিন। পরে শেষ পর্যন্ত ১৬ করে আফগানরা। এরপর ১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই বলে দুল রান নিতে পারে ভারত। তবে এরপর তৃতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান রোহিত। এরপরের বলেও ছক্কা হাঁকান তিনি। এক পর্যায়ে শেষ বলে দরকার ছিল মাত্র ২ রান। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে রোহিত উঠে গেলে শেষ বলে ১ রান নেন রিঙ্কু। ফলে সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হলে খেলা গড়ায় দ্বিতীয় সুপার ওভারে।
এরপর দ্বিতীয় সুপার ওভারে রিঙ্কুকে নিয়ে ১১ রান করে ভারত। ১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাত করতে নেমে প্রথম বলেই আউট হন নবী, এরপর তৃতীয় বলেই আউট হন গুরুবাজও। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান আটকে যায় ১ রানেই। ফলে ম্যাচ জিতে ভারত। এই জয়ে ৩-০ ব্যবধানে আফগানদের হারিয়ে নয়বার তিন বা এর বেশি ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ড গড়েছে ভারত।