মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পরও দক্ষতার সঙ্গে ফ্লাইট নিরাপদে জরুরি অবতরণ করিয়ে যাত্রীদের প্রাণ বাঁচানো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে তার মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছে।
কাতারের রাজধানী দোহা থেকে যাত্রী নিয়ে দেশে ফেরার পথে বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট ভারতের নাগপুরে থামে। ওই ফ্লাইটটি ক্যাপ্টেনের মরদেহ বাংলাদেশে এনেছে। এর আগে বিমান সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায় বিশেষ অনুমতি নিয়ে মরদেহ আনতে বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পাশাপাশি ক্যাপ্টেন নওশাদের দুই বোনের করোনা টেস্টের রিপোর্ট পেতেও কিছুটা সময় লাগবে।
গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে ১২৪ যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। সঙ্গে সঙ্গে ক্যাপ্টেন নওশাদ ফ্লাইটটিকে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে কাছের নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান। ঐদিনই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর প্লেনটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।