রবিবার (৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮ জন। শনিবার (৫ জুন) এ সংখ্যা ছিল ৪৩ জন। শুক্রবারের হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৪ হন। বৃহস্পতিবার ছিল ৩০, বুধবার ৩৪, মঙ্গলবার ৪১, সোমবার ছিল ৩৩। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মারা গেছেন ১২ হাজার ৮৩৯ জন।
করোনায় ২৪ ঘন্টায় শিশুসহ মৃত্যু ৪৩, শনাক্তের হার ১১.০৩
• ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু : ৩৮
• মোট মৃত্যু: ১২ হাজার ৮৩৯
• শনাক্ত : ১ হাজার ৬৭৬
• মোট শনাক্ত : ৮ লাখ ১০ হাজার ৯৯০
• নমুনা পরীক্ষা (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ): ১৫ হাজার ৬১৩ জন
• শনাক্তের হার: ১০.৭৩ শতাংশ
করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও শনাক্ত হয়েছে বেশি। শনিবার সকাল ৮ টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ১৫ হাজার ৬১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ৬৭৬ জনের। শনিবার (৫ জুন) এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৪৭ জন। শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৩। এখন পর্যন্ত ৬০ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ লাখ ১০ হাজার ৯৯০ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, সরকারি হাসপাতালে ৩১ জন এবং ৬ জন মারা গেছেন বেসরকারি হাসপাতালে। এছাড়া ১ জনের বাসায় মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও নারী ১৩ জন। মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ জন মারা যান চট্টগ্রামে। এছাড়ায় ৬ জন খুলনায়, রংপুরে ৫ জন, ঢাকা ও রাজশাহীতে ৪ জন করে মারা গেছেন। ৩ জন করে মৃত্যু হয়েছে সিলেট ও ময়মনসিংহে। আর বরিশালে মারা গেছেন ১ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে ২৩ জন ষাটোর্ধ্ব, ৯ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে। ৩১-৪০ এর মধ্যে ৩ জন এবং ২১-৩০ এর মধ্যে ১ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার যদি ৫ শতাংশের নিচে থাকে তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।