দেশে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে অনেকখানি। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টাতে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত ২৪ ঘন্টায় ২১ হাজার ৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ২ হাজার ১৭৭ জন। শনাক্তের হার ১০.৩৪ শতাংশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার করোনাক্রান্ত হয়ে মারা যান ৮৮ জন। শনাক্ত হয় ২ হাজার ৩৪১। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মারা গেছে মোট ১১ হাজার ৪৫০ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৫৯ হাজার ১৩২।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু : ৫৭
মোট মৃত্যু: ১১ হাজার ৪৫০
শনাক্ত : ২ হাজার ১৭৭
মোট শনাক্ত : ৭ লাখ ৫৯ হাজার ১৩২
নমুনা পরীক্ষা (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ): ২১ হাজার ৪৬ জন
শনাক্তের হার ১০.৩৪ শতাংশ
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে,সরকারি হাসপাতালে ৩৭ জন এবং ১৮ জন মারা গেছেন বেসরকারি হাসপাতালে। এছাড়া বাসা থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ২৮ জন রাজধানীবাসী, চট্টগ্রামের ১৩ জন। খুলনা ও সিলেটে ৫ জন করে এবং ২ জন করে রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুরের বাসিন্দা।
ঢাকা: ২৮, চট্টগ্রাম: ১৩, সিলেট: ৫, খুলনা: ৫, রাজশাহী : ২, বরিশাল: ২ ও রংপুর: ২
মৃতদের মধ্যে ৩৫ জনের বয়স ৬০ এর বেশি। ৫১-৬০ বছর বয়সী ১৩ জন, ৪১-৫০ এর মধ্যে ৭ জন। এছাড়া ৩১-৪০ এবং ২১-৩০ এর মধ্যে ১ জন। গেলো ২৪ ঘণ্টাতে পুরুষের মৃত্যুর হার নারীর তুলনায় বেশি।
পুরুষ: ৩২ ও নারী: ২৫
করোনা থেকে শেষ ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩২৫ জন। করোনাক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া মানুষের মোট সংখ্যা ৬ লাখ ৮১ হাজার ৪২৬ জন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।