দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৩ হাজার ৯০৮ জনের শরীরে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৯০৪ জনের।
প্রায় নয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ২ জুলাই এর থেকে বেশি করোনা শনাক্ত হয়, চার হাজার ১৯ জন।
এই নিয়ে টানা ছয়দিন সাড়ে তিন হাজারের ওপরে রোগী শনাক্ত হলো।
গত শনিবার ৩ হাজার ৬৭৪ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। শুক্রবার করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭৩৭ জন, বৃহস্পতিবার রোগী শনাক্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৬৭, বুধবার শনাক্তের সংখ্যা হাজার ৫৫৪ জন ও মঙ্গলবার ৩ হাজার ৫৬৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় দেশের ২২৪টি ল্যাবে ২২ হাজার ১৩৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৫। মোট রোগী শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৯ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪১ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ২১ পুরুষ ও ১৪ জন নারী আছেন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন ও ষাটোর্ধ্ব ২১ জন।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম দুই, রাজশাহী দুই, খুলনা এক, বরিশাল পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।