সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ২১ জন ও নারী ১২ জন। ৩৩ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন ও দুইজন বাসায় মারা যান। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ হাজার পাঁচজনে।
এছাড়া নতুন রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ২৩০ জন। সবমিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন সাত লাখ ৭৬ হাজার ২৫৭। মঙ্গলবার (১১ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৪৫৪টি ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৩২টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৪ হাজার ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৫৬ লাখ ৬১ হাজার ৯২৬টি। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার আট দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন হাজার ৪৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা সাত লাখ ১৫ হাজার ৩২১ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত ৩৩ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন এবং ষাটোর্র্ধ্ব ১৬ জন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী দেখা গেছে, ৩৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রামে সাতজন, রাজশাহীতে একজন, বরিশালে একজন, সিলেটে তিনজন এবং রংপুর বিভাগে দুইজনের মৃত্যু হয়। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।