আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতির মাঠে প্রতিপক্ষ থাকবে, প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে, তাই বলে কেউ কাউকে শত্রু ভাবা ঠিক নয়। দেশে এখন অদৃশ্য ও দৃশ্যমান দুটি শত্রু বিরাজমান। অদৃশ্য শত্রু হচ্ছে করোনা আর দৃশ্যমান শত্রু বিএনপি। বিএনপির নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি অদৃশ্য শত্রু করোনার চেয়েও ভয়ংকর। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের বুলি মুখে নিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির লালন-পালনকারী দল বিএনপি। বিএনপি মুখোশের আড়ালে বহুরূপী দানব। দায়িত্বশীল বিরোধী দল উন্নয়নের সহযাত্রী। কিন্তু বিএনপি নিজেরা তাদের কর্কট রূপ প্রমাণ করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে বিএনপি শত্রু মনে করে বলেই ৭৫-এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার নীলনকশায় জড়িত এবং বেনিফিশিয়ারি তারা। শেখ হাসিনাকে শত্রু মনে করে বলেই ২১ আগস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বিএনপি। বিএনপি নিরপরাধ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারে, সম্পদ নষ্ট করে। ক্ষমতায় গিয়ে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি জনআতঙ্কে ভুগছে, তাই তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। তারা ক্ষমতার হ্যালুসিনেশনে ভুগছে। তাই দেশের উন্নয়ন এবং উত্তরণ তাদের গায়ের জ্বালা বাড়ায়। ইতিহাস বলে বিএনপি যাদের বন্ধু, তাদের শত্রুর দরকার নেই।
তিনি বলেন, এ দেশের সমৃদ্ধি নয়, ধ্বংসই বিএনপির মনোবাসনা। যাদের ক্ষমতা লিপ্সার কাছে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ভূলুণ্ঠিত হয়, যারা জনগণের কাছে যাওয়ার নৈতিক মনোবল হারিয়ে বিদেশি শক্তির কাছে ধরণা দেয়, তারা আওয়ামী লীগের ক্ষতিসাধনের জন্য দেশ ও জাতির যেকোনো ক্ষতি করতেও প্রস্তুত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক দল হিসেবে ইতোমধ্যে ইতিহাসের কাঠগড়ায় বিএনপির বিচার শুরু হয়ে গেছে। রাজপথ আর ভোটের বাক্স তার প্রমাণ। মিথ্যাচার আর প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে ঠেকেছে। বর্ষণ নয়, তর্জন-গর্জনেই ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের অর্জন সীমাবদ্ধ।
পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতীয় সংসদে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।